গ্রামীণ ব্যাংক গরীবদের দারিদ্র্য দূর করার পরিবর্তে তাঁদের দুর্দশাগ্রস্ত জীবনকে আরো বেশি দুর্দশায় নিক্ষেপ করে ! !

বুলবুল আহম্মেদ জয়
আসিক, গ্রামীণ ব্যাংক রামচন্দ্রপুর (দঃ)মুরাদনগর শাখা কুমিল্লা- যোন ,দৈনিক ভিত্তিক কাজের লোক হিসাবে কাজ করেন(চতুর্থ শ্রেণীর কর্মচারী) । যার মা পথ চেয়ে থাকার পরেও ঘরে ফেরা ভাগ্যে জোটে না তার !
ব্যক্তিগত জীবনে তিনি বিবাহিত এবং দুই সন্তানের জনক। তার বয়স আনুমানিক তেত্রিশ-চৌত্রিশ বছর। তার চেহারা দেখে স্পষ্টতই বোঝা যায় তিনি দেশের প্রান্তিক জনগোষ্ঠীর দারিদ্র্য -পীড়িত একটি পরিবারে জম্ম নিয়েছেন এবং শরীরে ক্ষুধা-দারিদ্র্য ও অপুষ্টির সীমাহীন হালহকিকত ধারণ করে চলেছেন।তাকে শাখা ব্যবস্থাপক মাসে একবার ও ছুটি দেয়না আবার দিলেও বিনাবেতনে!!!তার দোষ স্থায়ী হয়ার জন্য চেষ্টা এবং ঢাকা প্রধাণ কার্যালয়ের সানে অবস্থান কর্মসূচী পালন করায়( আমিয় কিন্তু শাসক শ্রেণীর রক্তচোক্ষ অপেক্ষা করে কর্মসূচী করতে পারিনি)।
গরীবদের ধর্ষণ করার জন্য যুগে যুগে শাসকশ্রেণী কণ্টকযুক্ত শিশ্ন আবিষ্কারের অশ্লীল সৃষ্টিশীলয়তায় মত্ত থেকেছে । তাঁরা তাঁদের আবিষ্কৃত শিশ্ন দিয়ে ধর্ষিতাকে ক্ষত বিক্ষত করেই তৃপ্ত হয়নি, ধর্ষিতার শেষ রক্তবিন্দু শুষে নেওয়ার জন্য জোঁকের মত লেগে থেকেছে আসিকদের উপর ।আসিক আমায় বলেন ভাই
“সবচেয়ে বড় কষ্ট লাগে ছোট্ট মেয়েটার সঙ্গে একবারওদেখা করতে পারিনি আমি। এইবার টাকার জন্য মেয়েটারে একটা জামাও কিনে দিতে পারি নাই। মোবাইলে মেয়ে আমারে বলে, বাবা আইবা না? আমি কিছু কইতে পারি না। খালি নিজে নিজে কান্দি।”
গ্রামীণ ব্যাংকের মানুষ প্রকৃতিগতভাবে রঙ্গপ্রিয়। তারা কাজের চেয়ে চুরি ও অলসতাকে বেশি পছন্দ করে। পরিশ্রম করার চেয়ে চিন্তা ঠকিয়ে অথবা -চুরি-চামারি-ঘুষ, দুর্নীতি, লোপাট ইত্যাদির মাধ্যমে ধন-সম্পত্তি, হাসিল করতে বেশি পছন্দ করে। তারা আপন স্ত্রী বা স্বামীর চেয়ে পরনারী মধ্যে রূপ-যৌবন ও ভালোলাগার উপকরণ খুঁজে বেড়ায়। তারা প্রেমের সাধনা করার চেয়ে জোর জবরদস্তি-কে মনের মধ্যে লালন করতে থাকে। এখানে বড় বড় পদ-পদবি পাওয়ার জন্য মেধা ও পরিশ্রমের চেয়ে তেলবাজি, উপরওয়ালার দয়া-করুণা, স্বজনপ্রিয়তা বেশিমাত্রায় কার্যকর। চোর হয়েও সাধু-সন্ন্যাসীদের সভাপতির পদ অলঙ্কৃত করা সম্ভব। আমাদের এই গ্রামীণ ব্যাংকে বড় বড় নির্বোধ বহুবার বড় শিক্ষক হিসেবে আশ্চর্য সফলতা দেখিয়েছেন। অদক্ষরা দক্ষদের প্রশিক্ষক, ডাকাত হয়েও সম্পদের রক্ষক, চাইলে হাজারটা প্রমান আমি বুলবুল আহম্মেদ জয় দিতে পারব।
গ্রামীণ ব্যাংকে প্রায় তিন হাজার দৈনিক ভিত্তিক কাজের লোক এই পুলসংখ্যক প্রান্তিক জনগোষ্ঠীর আহার-বিহার- নিদ্রা সম্পর্কে যারা ধারণা রাখেন না অথবা ওই শ্রেণির মানুষের ঘৃণ্যবোধ, বিশ্বাস-ভালোবাসা ও আবেগের প্রতি শ্রদ্ধা দেখান না তারা আসিক কে অথবা আসিকদের কে বিরক্তিকর ও উপদ্রবকারী যুবকই ভাববেন।