বুলবুল আহমম্মেদ জয়
ইমাম শেখ বয়স ১৭ কি ১৮ বছর হতদরিদ্র খেটে খাওয়া একজন ভ্যান চালক! তার বাবা অসুস্থ মানসিক রোগী মা গৃহিণী ২ভাই ৩ বোনের সংসার এক বোন বিয়ে হয়েছে।
ভাগ্যক্রমে সুযোগ হয়েছিলো প্রধানমন্ত্রীকে ভ্যানে বসিয়ে গোপালগঞ্জে প্রধানমন্ত্রীর পিতৃভূমি ঘুরে দেখানোর।
ঐসময় প্রধানমন্ত্রী ইমাম শেখকে জিজ্ঞেস করেন
তোমার সব ভ্যান কি মটর সিস্টেম হয়েগেছে
-হ্যাঁ আপা
তুমিতো আমার দেশের বিদুৎ শেষ করে দিচ্ছো
-ইমাম শেখ হেসে দেয়। প্রধানমন্ত্রীও হেসে দেন।
পরে প্রধানমন্ত্রীর সংসৃষ্ট কর্মকর্তা ভ্যান ভাড়া দিতে চাইলে অভাবের শর্তেও সে নেইনি
বলে দেশের প্রধানমন্ত্রী আমার আপা আমার ভ্যানে ছড়েছে টাকা নেবো কেন এতো আমার ভাগ্য।
প্রধানমন্ত্রীকে কাছে পেয়ে দারিদ্রতার কথা বারবার বলতে গিয়েও লজ্জায় বলতে পারেনি।
পরে সাংবাদিকরা যখন জিজ্ঞেস করেন প্রধানমন্ত্রীর কাছে তোমার কিছু চাওয়ার আছে।
তখন লজ্জা ভুলে অকপটে বলে আমাকে যদি একটা চাকরি দিতেন।
আমার বাবাকে চিকিৎসা করাতে পারতাম আমার পরিবারের অভাবটা দূর হতো।
মানবিক কারনে প্রধানমন্ত্রী তার ডাকে সাড়া দিয়ে তার বাবা চিকিৎসা ঘর মেরামতের জন্য ৪০হাজার টাকা দেন।
বিমানবাহিনীতে তার শিক্ষাগত যোগ্যতা অনুযায়ী চাকরির ব্যবস্থা করে দেন।
এগুলো নিয়েও অনেকে সমালোচনা করছেন আমরা এতদূর পড়ালিখা করে চাকরি পাইনা আর একজন ভ্যান চালক চাকরি পেয়ে যায়।
দেশের শিক্ষিত বেকার যুবকদের চাকরী দিতে পারছেনা রাষ্ট্র সেটা আমাদের সীমাবদ্ধতা এবং অযোগ্যতা,এই সমস্যাটা বিশ্বের প্রতিটি রাষ্ট্রের আছে,কোথাও কম কোথাও বেশি।
তাই বলে এই সমস্যা দূরকরা প্রধানমন্ত্রীর একারপক্ষে সম্বভ নয়।
রাষ্ট্রে বড়বড় প্রতিষ্ঠান,বিত্তবানরাতো অনেকই আছেন আসেননা প্রধানমন্ত্রীর মত মনোভাব নিয়ে বেকারত্বের হাত থকে যুবসমাজকে রক্ষা করি।
প্রধানমন্ত্রী অন্তত একটি হতদরিদ্র পরিবারকে বাঁচার রাস্তা দেখিয়ে দিয়েছেন।
বিত্তবানরাও এগিয়ে আসুন এবং যারযার শিক্ষাগত যোগ্যতায় নিয়ে কর্মসংস্থানের চেষ্টা করুন।
শুধ সমালোচনা নয় সমাধানের পথ খুজুন।
No comments:
Post a Comment